বিশ্বকাপ উপলক্ষে হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক, বাড়ছে রুমের সংখ্যা
বিশ্বকাপ সামনে রেখে আরও ৪০ হাজার রুম নির্মাণ করছে কাতার। নভেম্বরের আগেই যা তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা আয়োজক কর্তৃপক্ষের। এদিকে বিশ্বকাপের আরও সাড়ে চার মাস বাকি থাকলেও হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। রিজার্ভেশনের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা এবং ভারত থেকেও রুম বুকিং করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
মাত্র সাড়ে চার হাজার বর্গ মাইলেরও কম আয়তনের কাতারে কীভাবে হবে বিশ্বকাপ দেখতে আসা লাখো দর্শকের আবাসান ব্যবস্থা? এই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে দীর্ঘসময় কাজ করেও সমাধানে আসতে পারছে না আয়োজক কর্তৃপক্ষ। দোহাসহ আশপাশে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও সমীক্ষা বলছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
বিশ্বকাপ দেখতে প্রায় দেড় মিলিয়ন পর্যটক কাতার ভ্রমণ করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। তবে শঙ্কার কথা এ সংখ্যা হতে পারে তিন মিলিয়ন পর্যন্ত। কেননা রাশিয়া বিশ্বকাপ দেখতে দেশটিতে বিদেশি পর্যটক গিয়েছিল ২.৯ মিলিয়ন। কাতারেও এমন হলে নিশ্চিতভাবেই ভেঙে পড়বে দেশটির আবাসন ও হোটেল ব্যবস্থা
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির পরিচালক ওমর আল জাবের বলেন, ‘আমরা এক লাখ রুম প্রস্তুত করেছি। আরও ৩০ হাজার রুম প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তেও পারে। নভেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা এক লাখ ৪০ হাজার হয়ে যেতে পারে। তাই প্রত্যাশা করছি বিশ্বকাপ দেখতে আসা পর্যটকদের আবাসন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে হলে করতে হবে ফ্যান আইডি। টিকিটের বিনিময়ে যেটি করতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে হোটেল বুকিং। যারা হোটেলে রুম নিশ্চিত করতে পারবে না তাদের আত্মীয় কিংবা বন্ধুবান্ধবের বাসস্থানে থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে হবে। কোনো পর্যটক এসব দিতে ব্যর্থ হলে তার বিশ্বকাপ দেখা সম্ভব হবে না।
এ সম্পর্কে ওমর আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় যারা কাতার আসবেন তাদের অবশ্যই ফ্যান আইডি থাকতে হবে। এটা আপনি তখনই পাবেন, যখন আপনার কাছে টিকিট থাকবে। একই সঙ্গে থাকতে হবে রুম বুকিং। অথবা পরিবার কিংবা বন্ধুর বাসায় থাকার নিশ্চয়তা। তবে কেউ যদি এক দিনের জন্য কাতার আসতে চায় তার ক্ষেত্রে এসবের প্রয়োজন পড়বে না।’
এদিকে বিশ্বকাপের প্রায় সাড়ে চার মাস বাকি থাকলেও এখন থেকেই হিড়িক পড়ে গেছে রুম বুকিংয়ের। এ দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বুকিংয়ের শীর্ষ পাঁচে আছে মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা এবং ভারতের দর্শক।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি রুম বুকিয়ের কথা বলি তবে শীর্ষে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা এবং ভারত থেকেও প্রচুর বুকিং হচ্ছে। আরব দেশের মধ্যে এগিয়ে আছে সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান, বাহরাই, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
আবাসনের পাশাপাশি কাতারকে ভাবতে হচ্ছে পর্যটকদের খরচ নিয়েও। ধারণা করা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক দর্শকের চাপে হোটেল রুম থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হতে পারে আকাশচুম্বী।